সাম্প্রদায়িকতা আজ কোথায়?


 তোমরা যারা একসাথে বসে চা খাও তারাই গভীর রাতে তোমার পেছনে ছুরি মারতে দ্বিধা করেনি!


একদল পশুর বর্বর আচরন আমাকে পশু হতে বাধ্য করে নি।আমার শুধুই তাদের দেখে মায়া হয়েছে।ওরা কি জানে না-কোন এক অন্ধকারের গোপন তাদেরকেও আপন করে নিতে পারে কখনো সযত্নে!কখনো নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে তাদের অস্তিত্ব!কখনো তাদের পরিবার হারিয়ে ফেলতে পারে এক কর্মঠ যুবক কে ! আমি ঐ পশুদের কথা বলছি,যারা সনাতন ধর্মকে অবমাননা করে,পৌত্তলিকপ্রথাকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়,ধর্মের বিলুপ্তি ঘটিয়ে কোন এক হীন ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে প্রত্যেক গভীর রাতে।মন্দির ভাঙে,প্রতিমা ভাঙে,পুজা অর্চনার পবিত্র বেদীতে অপবিত্র হাতে এক বোতল মদ ঢেলে দেয়।ওরা কি মনে করে-ধর্ম যুগে যুগে ঐ কয়েকটা পশুর বর্বরতার ভয়ে মুখ লুকিয়ে হারিয়ে যাবে!মুর্খ বোকা পশু!তোমার মাথায় আর যাই থাক বুদ্ধি নেই।তোমার গায়ে আর যাই থাক শক্তি নেই।তুমি তো জান না-ছলনার দ্বারা পাওয়া যে সাফল্য তার স্হায়িত্বকাল অল্পক্ষনই হয়!


আমি বুঝি না,তোমরা তাদের মানুষ বল!দিনের আলোতে একসাথে বসে আড্ডা দাও,চা খাও অথচ গভীর রাতে সেই ই তোমার সম্ভ্রমে আঘাত করে,তোমার লজ্জা কেড়ে নেয়,তোমার অনুভুতি বিষিয়ে তোলে,তোমার শরীরে বয়ে যাওয়া শীতল রক্তকে গরম করে তোলে।তুমি তাদের ভাই,বন্ধু বলে বুকে টেনে নাও।নিজেকে লজ্জা কর মানুষ কারন তুমি সংখ্যালঘু।তোমাকে কারুর না কারুর সামনে মুখ নিচু করে চলতেই হবে।কারন পশ্চিমবঙ্গে তথা পুরো ভারতে হিন্দুদের রাজত্ব চলে,সংখ্যালঘুদের উপর হয় নির্যাতন। সুতরাং তাদের নির্যাতনের প্রক্রিয়া আমার প্রিয় বাংলাদেশেও চলবে এটাই স্বাভাবিক।কারন আমরা বাংলাদেশের মানুষ নই,আমরা উদ্বাস্তু,আমাদের ঠিক জন্মপরিচয় নেই এখানকার।আমরা আমাদের দেশেই শরনার্থী। অদ্ভুত লাগছে না ভাবতে!অথচ আমাদের পূর্বপুরুষরাই জঙ্গল কেটে বাসযোগ্য করেছে আমাদের সুস্হভাবে বেঁচে থাকার জন্য।


কোন একদিন হঠাৎ দেখা যাবে,অনানুষ্ঠানিকভাবে পুজা নিষেধ করা হল,মৃত ব্যক্তির সৎকারে আগুন লাগানো গেল না,উলুধ্বনি আর ঘন্টার শব্দও ঘর থেকে বের করা যাবে না।একদিন দেখা যাবে মা বোনকে নিরাপত্তার খাতিরেই কালো কাপড়ে মুড়িয়ে বের হতে হচ্ছে বাইরে।সেসব যাক,অন্তত জীবন থাক।নর্দমায় প্রতিমার মুন্ডুর মত মানুষের মুন্ডু নিয়ে ইঁদুরেরা জলকেলি না করুক,ও যে বড় মর্মান্তিক।


তোমরা আরো প্রতিমা ভাঙো গভীর রাতে।যার যার ঘর ভাঙতে ইচ্ছে হয় ভেঙে দাও কারন তোমাদের কেউ কিছু বলবে না, আমরা সংখ্যালঘুরাও না।কিন্তু কখনো কারুর লজ্জায় হাত দিও না,অনুভুতিতেও না।হতে পারে হঠাৎ করেই পরিকল্পিত লোডশেডিংয়ের ফাঁকে এক মৃদু আলোর উপর ভর করে তোমাদের পুরো কর্মকান্ড জেনে ফেলবে বিশ্ববাসী।সেদিন তোমাদের রেহাই নেই।একদিন পৃথিবী সমস্বরে গর্জে উঠবে।চিৎকার করে বলবে,আমি ধর্মের জন্য লড়ছি না,আমি মানুষের জন্য লড়ছি,আমি মানবতা টিকিয়ে রাখার জন্য লড়ছি।অপেক্ষা কর সেদিনের,তোমাদের এ সুখভোগ,এ আরামপ্রদ বিলাসিতা-এ অল্পক্ষণের।


পশুত্ব ঝেড়ে ফেলো ভেতর থেকে।জানোই তো, দিনশেষে কোন পশুই সুস্হ মৃত্যু পাই নি।ঝেড়ে ফেল মাথা থেকে এগুলো,নাহলে তোমাদের মৃত্যুর প্লান বানানো হবে তোমাদেরই সাথে নিয়ে।

Post a Comment

0 Comments