টিকা নিয়ে চিন্তা? কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে? কতটা প্রতিরোধ হবে?

আমারা যারা টিকা নিচ্ছি  এবং নেব আমাদের সবার জন্য কিছু তথ্যঃ-


১. যদি ডায়াবেটিস থাকে, ডাক্তারের সাথে কথা বলে কন্ট্রোলে আসার পর টিকা নেবেন।

২. হাই প্রেসার, হার্টের রোগী, কিডনির সমস্যার রোগীরা টিকা নিতে পারবেন। কোনো বিধিনিষেধ নেই।

৩. যদি কোভিড পজেটিভ হন, নেগেটিভ হওয়ার ২৮ দিন পর টিকা নিতে পারবেন, এর আগে নয়। ১ম এবং ২য় উভয় ডোজের জন্য এটি প্রযোজ্য।

৪. যদি কোভিড-১৯ এর যেকোনো উপসর্গ আপনার মাঝে থেকে থাকে দয়া করে টিকা নেবেন না। টেস্ট করে কনফার্ম হয়ে এরপর নেবেন।

৫. টিকা দেওয়ার জায়গায় টিকা নেওয়ার পরবর্তী ৪৮ ঘন্টা কোনো তেল, সাবান, লোশন, শ্যাম্পু বা হেক্সিসল কিছুই লাগাবেন না। পানি লাগানো যাবে গোসলের সময়।

৬. ঐ স্থানে ঘষামাজা করবেন না, চাপ দিবেন না, ঠান্ডা বা গরম স্যাক দিবেন না।

৭. যদি জ্বর আসে বা ব্যথা হয়, নাপা বা প্যারাসিটামল খেয়ে নিবেন। না হলে খাওয়ার প্রয়োজন নেই।

৮. জ্বর বা ব্যথা ছাড়া অন্য কোনো সমস্যা যদি দেখা দেয় টিকা নেওয়ার কারণে, ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

৯. আগে যদি কোনো ওষুধ চলমান থাকে সেগুলো খেতে পারবেন। তবে নতুন কোনো ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।

১০. আপনার যদি কোনো খাবারে এলার্জি থেকে থাকে, সেইসব খাবার ৩-৪ দিন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

১১. টিকা নেওয়ার পরেও সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন দয়া করে।

১২. যাদের ২ ডোজ টিকা দেওয়া কমপ্লিট হয়েছে তারা সুরক্ষার ওয়েবসাইটে সনদ সংগ্রহণ অপশনে গিয়ে সনদ ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। সনদ কোনোভাবেই ১ম ডোজ দেওয়ার পরে পাওয়া যাবে না।

১৩. যারা ১ম ডোজ নিয়ে দেশের বাইরে ট্রাভেলের জন্য যাবেন আপনাদের টিকা কার্ডই আপনার প্রমাণ যে আপনি টিকা নিয়েছেন। এক্ষেত্রে এয়ারপোর্ট কিংবা দেশের বাইরে যারা বাংলা পড়তে জানেন না, টিকা কার্ডে থাকা কিউআর কোডটি ইন্টারন্যাশনাল হওয়ায় তারা ওই কিউআর কোডের মাধ্যমে আপনার তথ্য দেখতে পাবেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ গর্ভবতী নারীরা এবং যেসব মায়েরা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান তারা সরকারি নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত টিকা নেবেন না দয়া করে। যদি নিয়ে ফেলেন, ডাক্তারের সাথে কথা বলে নেবেন দ্রুত!

নিজে জানুন এবং অন্যকে সঠিক তথ্যটি জানতে সহায়তা করুন।

Post a Comment

0 Comments