গতানুগতিকভাবে সব মানুষই চরিত্রহীন।কৈশোরে অথবা যৌবনে পা হড়কায় নি এমন মানুষ পাওয়া যায় না বললেই চলে।তবু মানুষ শরীরের পবিত্রতার দাবি করে,অথচ মনটাকেই বিষিয়ে তোলে ভেতরে ভেতরে। প্রত্যেকদিনের মত ঘটা করে ঘর থেকে বের হয়, ভাবে আজকের দিনটা তার জন্য নতুন কিছু নিয়ে আসবে।এই লোভটা হয় তার অজস্র মানুষের জন্য,অথচ সে মানুষটা ঘরে ফেরে শূন্য হাতে। হতাশাগ্রস্ত চোখ তাকে ভুল সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে।সে পিছলে পড়ে একের পর এক মানুষের কাছে।
আমি সতীসাধ্বী নারীদেরই সবচেয়ে বেশীবার পরকীয়া করতে দেখেছি।খুব সরল চেহারার ছেলেদের কেউ কেউ ভেতরে ভেতরে প্রচন্ড বিস্ফোরণের ক্ষমতা রাখে।মাঝে মাঝে আমরা সরলতাকে বিশ্বাস করি আবার কখনো কখনো হার মানি কঠোরতার কাছে।কখনো শীতল জল ভালবাসি তো কখনো রুদ্রতান্ডব।কখনো নৈঃশব্দ ভালবাসি তো কখনো পিনপতন নিরবতা।
জীবনের একাল আর ও কাল পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে এককালের পছন্দ আর ইচ্ছাগুলো অন্যকালে হেঁয়ালী হয়ে উঠেছে।
চরিত্রহীন বলে ছেড়ে চলে যাওয়া মেয়েটাও রোজ শরীর বিক্রি করে নেশায় অথবা পেশায়।কে জানে কালকের দিনে কোন ইচ্ছাটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে না!
তুমি বরং চরিত্রহীন হয়েই ওঠো প্রিয়তমা। এ শহর সরল চরিত্রবানদের জন্য না।জীবন তোমাকে গুছিয়ে তুলুক নিজের মত করে।
#তাপস
0 Comments